অবশেষে চলেই গেলেন ২০ বছর কোমায় থাকা সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ২০০৫ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন সৌদি রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স আল ওয়ালিদ। ওই দুর্ঘটনায় তার মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। সেদিন থেকেই তিনি ছিলেন কোমায়। ২০ বছরে এক সেকেন্ডের জন্যও তার জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসাধীন ছিলেন রিয়াদের কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে।
পাচঁ বছর আগে কোমায় থাকা অবস্থায় তিনি একবার আঙুল নাড়িয়ে ছিলেন। এ থেকে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের সেরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দীর্ঘ চেষ্টা সত্ত্বেও তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। বিশ্ব ব্যাপি পরিচিত হন ঘুমন্ত রাজকুমার (Sleeping Prince) হিসেবে।
এই পুরো সময় জুড়ে বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল বিন আব্দুল আজিজ তার সন্তানের লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার দৃঢ় বিরোধিতা করে এসেছেন। জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে, এমন অটল বিশ্বাস প্রকাশ করে এসেছেন তিনি।
রাজপুত্রের মৃত্যুর খবরে সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলো তেনেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “Sleeping Prince” হ্যাশট্যাগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দেশগুলোতে। অপরদিকে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে তার মৃত্যুর খবর।
ছেলের আরোগ্যের জন্য পরলোকগত প্রিন্সের বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। প্রতিদিন তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা বসেছিলেন সন্তানের শয্যা পাশে। পুত্রস্নেহের এই গল্প মানুষের হৃদয়ে গভীরভা বে অনুরণিত হয়েছে।একজন নিবেদিতপ্রাণ পিতার-এই দৃশ্য বহু মানুষের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করেছে। অনুরণিত হচ্ছে মানুষের রিদয়ে। জানাজার আজ বাদ আসর তাকে দাফন করা হবে।
সূত্র : Mirza Tarequl Qader -এর টাইমলাইন থেকে নেওয়া।