📅 প্রকাশের সময়:
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ | ৪:৩০ PM
আজ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (NCP) ‘জুলাই মার্চ’ কর্মসূচিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের গাড়িচালক।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:জা
তীয় নাগরিক পার্টি (NCP) ঘোষিত “জুলাই মার্চ টু গোপালগঞ্জ” কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটে। সকালে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা এবং বিকেলে র্যালি ভেন্যুতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত পুলিশের একটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতরা হলেন—ইন্সপেক্টর আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওসার এবং মিনহাজ। তাদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে সদরের কলেজ মোড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. রকিবুল হাসানের গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এতে তার গাড়িচালক মোইন গুরুতর আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকেল ৪টার দিকে পৌর পার্কের র্যালি ভেন্যুতে হঠাৎ হামলা চালায় ২০–২৫ জন মুখোশধারী। তারা চেয়ার ভাঙচুর করে এবং তিনটি ককটেল বোমা ফাটায়। ঘটনার সময় পুলিশ কিছু সময়ের জন্য ভেন্যু থেকে সরে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।
NCP’র কেন্দ্রীয় নেতা নাইহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন—
> “এই হামলা একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম, অথচ সন্ত্রাসীরা এসে রক্তাক্ত করলো আমাদের প্রতিবাদ।”
তিনি আরও বলেন—
> “আমরা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছি, সে কারণেই আজকের কর্মসূচি ছিল ঐতিহাসিক।”
গোপালগঞ্জ থানার ওসি মির মুফিজুর রহমান বলেন,
> “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা এতে জড়িত।”
জেলা প্রশাসকও জানান,
> “হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”