বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মধুপুরে বি.এন.পি’র সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও স্মরণ সভা টাংগাইল-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী। টাংগাইল মধুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া… icon বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং মধুপুর শাখার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। টাংগাইল -১ আসনে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রার্থীতা ঘোষণা.. জোটের অংশ হয়ে অন্য দলের প্রতীকে ভোট করা যাবে না, আগামী নির্বাচনে আরো যেসব পরিবর্তন আসছে গাজার এক তৃতীয়াংশ মানুষ কয়েকদিন ধরে অভুক্ত, বলছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার ঘোষণা এমন উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতিকার-ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে
নোটিশঃ
দৈনিক চলমান বাংলাদেশ পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম

২০০ বারের বেশি সাপের ছোবল খাওয়া ব্যক্তির রক্ত থেকে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিভেনম

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

২০০ বারের বেশি সাপের ছোবল খাওয়া ব্যক্তির রক্ত থেকে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিভেনম

ব্ল্যাক মাম্বা নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক সাপ

ছবির উৎস,Getty Images

ছবির ক্যাপশান,ব্ল্যাক মাম্বা নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক সাপ

    • Author,জেমস গ্যালাগার
    • Role,স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান সংবাদদাতা
  • ৩ মে ২০২৫

ইচ্ছাকৃতভাবে ২০০ বারের বেশি সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি। গোখরাসহ বিশ্বের ভয়ঙ্কর নানা সাপের বিষ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে নিয়েছেন ৭০০ বারের বেশি।

তার নাম টিম ফ্রিড। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। এক সময় ট্রাক সারাই ছিল পেশা। পরে সাপ নিয়ে কাজ করা হয়ে যায় নেশা।

শুরুতে তিনি নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চেয়েছিলেন যাতে সাপ ধরার সময় তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন এবং নিজের এই কীর্তিকলাপ তিনি ভিডিও করে ইউটিউবে রেকর্ড করে রাখতেন।

তিনি বিষ সংগ্রহ করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক কিছু সাপ থেকে, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রজাতির মাম্বা, কোবরা, তাইপান ও ক্রেইট।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, টিম ফ্রিডের রক্তে এমন এক ধরনের অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে যা মারাত্মক ধরনের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

টিমের রক্তে পাওয়া অ্যান্টিবডি প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় দেখা গেছে এই অ্যান্টিবডি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে সাপের বিষের মারাত্মক ডোজ থেকে রক্ষা করেছে।

সাপের বিষ কাটাতে বর্তমানে যে থেরাপিগুলো প্রচলিত আছে তা নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষ অনুযায়ী কাজ করে, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তিকে যে সাপ কামড়েছে, সেই প্রজাতির সাপের জন্য তৈরি অ্যান্টিভেনমই দিতে হয়।

মি. ফ্রিডের ১৮ বছরের প্রচেষ্টা সব ধরনের সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে একটি সার্বজনীন অ্যান্টিভেনম খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রায় দুই দশক ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে শরীরে সাপের বিষ নিচ্ছেন টিম ফ্রিড। তবে এসব শুরুর আগে গোখরার দুটি কামড় খেয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।

“আমি মারা যেতে চাইনি, আমার একটি আঙুলও হারাতে চাইনি। কাজ করতে পারবো না এমন পরিস্থিতির শিকার হতে চাইনি আমি,” বিবিসিকে বলছিলেন মি. টিম।

প্রায় ১৮ বছর ধরে টিম ফ্রিড যে কাজ করছেন, তার ফলে সাপের কামড়ের চিকিৎসায় একটি সার্বজনিন ওষুধ বা অ্যান্টিভেনম তৈরি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে সাপের কামড়ে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজারেরও মতো মানুষের মৃত্যু হয় এবং এর তিনগুণেরও বেশি মানুষ অঙ্গ কেটে ফেলা বা স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হয়।

মি. ফ্রিড বলেন, তার লক্ষ্য ছিল বিশ্বের অন্যান্য মানুষের জন্য ভালো থেরাপি তৈরি করা।

  1. “এটা একসময় আমার জীবনযাত্রার অংশ হয়ে যায়। আমি নিজেকে ঠেলে ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকি—তাদের জন্য, যারা আমার থেকে আট হাজার মাইল দূরে সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category