আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ, সরকারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
ছবি: সংসদ ভবনের সামনে ‘মব কালচার’ ও অপরাধ দমনের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিচ্ছে একটি সামাজিক সংগঠন।
ছবির উৎস: Getty Images
ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এগারো মাস পার হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্নটি আবারও সামনে এসেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মব সন্ত্রাস, দলবদ্ধ সহিংসতা, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনা যেন থামছেই না। অনেকেই বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা কিংবা দেরিতে পদক্ষেপই এসব অপরাধের লাগামছাড়া অবস্থার জন্য দায়ী।
বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে ‘মব’ বা দলবদ্ধ সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। সম্প্রতি মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড ছাড়াও খুলনায় যুবদলের এক নেতাকে হত্যার পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া, চাঁদপুরে মসজিদের ভেতর ইমামকে চাপাতি দিয়ে কোপানোসহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা জনমনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এর আগে মার্চ মাসে মাদারীপুরের সদর উপজেলায় আপন দুই ভাইসহ তিনজনকে মসজিদের ভেতরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকার যদি শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করত, তবে আজ মব সন্ত্রাস, খুন, ও অপরাধ চক্রের দৌরাত্ম্য এই পর্যায়ে পৌঁছাত না। তারা মনে করছেন, সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতিই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই ক্রমাবনতির অন্যতম কারণ।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, দেশে খুন, চুরি, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, মাদক ও সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকার ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করছে। রবিবার থেকেই সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।